প্রকাশিত: Wed, Mar 15, 2023 2:09 PM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:25 AM

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর ‘পাপের শাস্তি’!

মহিউদ্দিন আহমদ : কয়েকদিন ধরে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। তার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তবে তার ছোটভাই জাহাঙ্গীর মুহসীন হলে আমার সতীর্থ ছিল। ইউনূস সুদখোর। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ছিলেন। গ্রামীণ ব্যাংক টাকা ধার দিয়ে সুদ নেয়। খুব খারাপ কথা। আমি যদ্দুর জানি, বাংলাদেশ সরকার বিশেষায়িত এই ব্যাংটি প্রতিষ্ঠা করেছিল ১৯৮৩ সালে। এই ব্যাংকের মালিক সরকার। সরকার ইউনূসকে নিয়োগ দিয়েছিল এমডি হিসেবে। এজন্য তিনি বেতন-ভাতা পেতেন। একপর্যায়ে এসে সরকার তার চাকরির মেয়াদ আর বাড়ায়নি। ইউনূস অবশ্য চাকরিতে থেকে যেতে চেয়েছিলেন। যাহোক, ইউনূস এই ব্যাংক থেকে ‘বিতাড়িত’ হওয়ার পরও গ্রামীণ ব্যাংক বছরের পর বছর সুদ খেয়েই চলেছে। এখনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেনি। শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নয়, সরকারি সব ব্যাংকই সুদখোর। 

বেসরকারি ব্যাংগুলোর কথা আলাদা করে আর না-ই বললাম। এমনকি যারা সরকারি ব্যাংকে ও নানান সঞ্চয় স্কিমে আমানত রেখে দিনের পর দিন সুদ খাচ্ছেন, তারাও অনেকে ইউনূসকে সুদখোর বলে গাল দেন। বিষয়টি  আমি বুঝে উঠতে পারছি না। ইউনূস দুটো বড় অপরাধ করেছেন। প্রথমত তিনি নোবেল পেয়েছেন। এটা খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। বাংলাদেশে এত যোগ্য লোক থাকতে তাকে কেন নোবেল দেওয়া হলো? নিঃসন্দেহে এটা ছিল একটা জঘন্য সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র। দ্বিতীয়ত তিনি এক-এগারোর সময় একটা রাজনৈতিক দল তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। কত বড় সাহস! ক্ষমতায় যেতে চায়। এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই পাপের শাস্তি তাকে পেতেই হবে। (এ ধরনের পোস্ট দিয়ে ‘হেইট স্পিচ’ দেওয়ার অজুহাতে আমি বেশ কয়েকবার ফেসবুকের শাস্তির কবলে পড়েছি। এবার না জানি কী হয়)! লেখক ও গবেষক। ফেসবুক থেকে